অর্থঋণ আদালতে দুইবার নিলাম কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। যথা: ৩৩(১) এবং ৩৩(৪) ধারায়। সমনজারি সম্পন্ন হলে বা ৩০ ধারার নোটিশ জারি সম্পন্ন হলে ডিক্রিদার ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিলামের আবেদন করে। আবেদন শুনানি অন্তে সন্তুষ্ট হলে আদালত নিলামের তারিখ ধার্য করিয়া নিলাম অনুষ্ঠানের আদেশ জারি করে। ঋণের জামানত বাবদ প্লেজকৃত /হাইপোথেকেটেড মালামাল বা বন্ধককৃত সম্পত্তি উক্ত অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ এর বিধান মোতাবেক নিলামের মাধ্যমে খরিদ করা যায়। প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হয় ধারা ৩৩ এর উপধারা ১ এর বিধান মোতাবেক। উক্ত ৩৩(১) ধারার নিলাম ব্যর্থ হলে, এর পর দ্বিতীয় নিলাম অনুষ্ঠিত হয় ধারা ৩৩ এর উপধারা ৪ এর বিধান মোতাবেক। উক্ত নিলামেও সম্পত্তি ক্রয় করা যায়। উক্ত নিলামে অংশ নিতে হলে জানতে হবে কিছু বিধিবিধান। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কারা নিলামে সম্পত্তি ক্রয় করতে পারে-
১. যেকোন ব্যক্তি যিনি চুক্তি আইন, ১৮৭২ মোতাবেক চুক্তি করার জন্য উপযুক্ত;
২. যেকোন কোম্পানি
৩. বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান/সংস্থা
সাধারণত বলা যায়- পাগল নয়, ১৮ বছরের নিচে নয়, সুস্থ মষিÍস্ক সম্পন্ন যেকোন মানুষই নিলামে অংশ নিতে পারে। এছাড়া যেকোন নিগমবদ্ধ কোম্পানি সেটা পাবলিক হোক বা প্রাইভেট, বিধিবদ্ধ সংস্থা নিলামের মাধ্যমে জমিজমা/মালামাল ক্রয় করতে পারে।
নিলামের অংশ নেয়ার বিধানাবলি সাধারণত নিলামের বিজ্ঞপ্তিতেই উল্লেখ থাকে। সাধারণ আর দশটা টেন্ডারের থেকে অর্থঋণ আদালতের নিলাম কার্যক্রমে বেশ আলাদা। আসুন জেনে নেয়া যাক বিধিগুলো-
১. নিলাম খরিদ্দার যদি ব্যক্তি হয়, সেক্ষেত্রে সাদাকাগজে অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে আবেদন করতে হবে (আবেদন পত্রের নমুনা লেখকের অন্য লেখায় উল্লেখ আছে)
২. আবেদন পত্রের সাথে ¯ø্যাব অনুযায়ী পে-অর্ডার সংযুক্ত করতে হবে।
‘‘৩৩ (২) প্রত্যেক দরদাতা, উদ্ধৃত দর অনূর্ধ্ব ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা হইলে উহার ২০%, উদ্ধৃত দর ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা অপেক্ষা অধিক এবং অনূর্ধ্ব ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা হইলে উহার ১৫% এবং উদ্ধৃত দর ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা অপেক্ষা অধিক হইলে উহার ১০% এর সমপরিমান টাকার, জামানতস্বরূপ, ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার আদালতের অনুকূলে দরপত্রের সহিত দাখিল করিবেন।’’
৩. আবেদন পত্রের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র সংযুক্ত করতে হবে। (নিলামের দিন আদালত প্রয়োজন মনে করিলে অরিজিনালটি দেখতে চাইতে পারেন)
৪. পেপার কাটিং সংযুক্ত করতে হবে (যে পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়েছে উক্ত বিজ্ঞপ্তিটির কপি)
৫. খাকি খামে উপরোক্ত ডকুমেন্টস ভরে তা মোম দিয়ে সীল গালা করে আদালতে রক্ষিত টেন্ডারবক্সে জমা দিতে হবে। (অনেক আদালতে উক্ত টেন্ডারবক্স নেজারত বিভাগে রক্ষিত থাকে আবার অনেক জায়গায় তা অর্থঋণ আদালতের সেরেস্তায় রক্ষিত থাকে)
Be the first to comment