১. সাধারণত নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত সময়ে আদালতের প্রিজাইডিং অফিসার তথা বিজ্ঞ জজ, অর্থ ঋণ আদালত উক্ত টেন্ডারবক্সটি ওপেন কোর্টে নিলামে অংশগ্রহনকারীদের (যদি থাকেন) সামনে খুলে থাকেন।
২. নিলামে অংশগ্রহনকারী কেউ না থাকলেও বিজ্ঞ জজ, অর্থ ঋণ আদালত উক্ত টেন্ডারবক্সটি ওপেন কোর্টে খুলে থাকেন।
৩. বক্সে কোন দরপত্র পরলে, তিনি সেগুলো একটা একটা করে পাঠ করে সবাইকে শোনান।
৪. ঐ সময় কোন দরপত্র দাতা কত টাকা দরপ্রস্তাব করেছেন তা জানা যায়। সুতরাং কে সর্বোচ্চ দরদাতা তা বোঝা যায়।
৫. এরপর বিজ্ঞ জজ, অর্থ ঋণ আদালত জমা প্রাপ্ত দরপত্রসমূহ সম্পর্কে ডিক্রিদার ব্যাংকের মতামত গ্রহণ করেন। যদি ব্যাংকের কোন অথোরাইজড কর্মকর্তা সেই সময়ে উপস্থিত থাকেন তাহলে তিনি সরাসরি/লিখিতভাবে তখনই তার মতামত প্রদান করতে পারবেন। অথবা বিজ্ঞ আদালত পরবর্তীতে একটা তারিখ ধার্য করেন ব্যাংকের মতামত জানানোর জন্য।
৬. যদি নিলামে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দরে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকের কোন আপত্তি না থাকে, তাহলে আদালত নিলাম বহালের জন্য সাধারণত ৩০ দিনের একটা সময় ধার্য করেন।
৭. উক্ত ৩০ দিনের অবসানে উক্ত নিলামটি সর্বোচ্চ দরদাতার নামে বহাল হয়।
৮. যদি ডিক্রিদার ব্যাংক নিলামে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ দরে বিক্রিতে আপত্তি জানায়, সেক্ষেত্রে সাধারণত আদালত উক্ত নিলাম ব্যর্থ গণ্যে পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হন। এক্ষেত্রে ডিক্রিদারের আপত্তি সত্তে¡ও বিজ্ঞ আদালত চাইলে উক্ত দরেই সম্পত্তি বিক্রয় করতে পারেন। কিন্তু সাধারণত এটা আদালতগুলি করে না। কেননা এতে অনাকাঙ্খিত লিটিগেসনের জন্ম হয়। সময়ক্ষেপন হয়।
Be the first to comment