পরিবারের দেয়া তিন আসামির নাম বাদ দিয়ে অন্য তিনজনকে আসামি কারা করল, কেন করল: যুবদল সভাপতি

যুবদল সভাপতির তোপে প্রশাসনিক ব্যর্থতা

সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন নেতারা

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের সড়কে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় নিহতের পরিবারের দেওয়া তিন আসামির নাম বাদ দিয়ে নতুন তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। তিনি এর কারণ জানতে চেয়েছেন।

রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ শনিবার  বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘পরিবার জানিয়েছে, তারা আসামি হিসেবে নাম দিয়েছে, এমন তিনজনকে মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে যাঁদের দেখা গেছে, আশ্চর্যজনকভাবে তাঁদের মামলার প্রধান আসামি করা হয়নি। যাঁরা প্রাণঘাতী আঘাতগুলো করেছেন, তাঁরা এখনো গ্রেপ্তার হননি। এর কারণ বোধগম্য নয়।’ নিহত লাল চাঁদের বড় বোনের মেয়ে বীথি আক্তারের বরাত দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

যুবদল সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা দায় অস্বীকার করিনি। কোনো ঘটনা ঘটলে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। গতকাল ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত এক বছরের মধ্যে হাজারো নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছি। কিন্তু প্রশাসন কি তাদের বিষয়ে যথাযথ আইনি বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে? না নিয়ে থাকলে কেন নেয়নি, তা জানতে চাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল খুলনায় যুবদলের বহিষ্কৃত একজন নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা জাতীয় গণমাধ্যমে এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ লক্ষ করা যাচ্ছে না। চাঁদপুরে খুতবা দেওয়ার সময় একজন ইমামের ওপর নারকীয় কায়দায় প্রাণনাশের লক্ষ্যে হামলা করা হয়েছে। রগ কেটে হত্যা করা একটি বিশেষ সংগঠনের দীর্ঘদিনের সহিংস রাজনৈতিক চর্চার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। গতকালের দুটো ঘটনায় তারা জড়িত ছিল। এর আগে কুয়েটের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পেছনেও তাদের প্রত্যক্ষ ইন্ধন ছিল।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত উল্লেখ করে আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘একটি সুযোগসন্ধানী বিশেষ গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিলেকটিভ প্রতিবাদ করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও বিবৃতি দেওয়া শুরু করেছে।’ তিনি দাবী করেন প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে এই দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবস্থা। সরকারের তৎপরতা দৃশ্যমান থাকলে, আইনের কঠিন প্রয়োগ থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর ক্ষেত্রে মানুষ দুইবার ভাবতো বলে মন্তব্য করেন যুবদলের এই নেতা ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*