
- বিচারপ্রার্থীদেরকে ঢাকায় আসতে হবে না।
- বিচারপ্রার্থীরা নিজের বিভাগীয় শহরেই অধস্তন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল-রিভিশন প্রভৃতি দায়ের করতে পারবেন।
- খরচ সাশ্রয় হবে।
- ঢাকার আইনাঙ্গনে দালালদের খপ্পড়ে পরার হার কমে যাবে।
- বিভাগীয় শহরগুলোতে ভালো মানের আইনজীবীদের স্থায়ী ভাবে থাকার সংখ্যা বাড়বে। ফলে মানুষ উপকৃত হবে।
- ঢাকার উপর চাপ কমবে।
- সারাদেশ থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়ার রাস্তাঘাটে কিছুটা হলেও জানজট কমবে।
- ঢাকার জানজট কমায় সহায়ক হবে।
- বিকেন্দ্রীকরণ করায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ঢাকার মুখাপেক্ষী থাকা লাগবে না।
এরকম আরও নানাবিধ সুবিধা থাকলেও অসুবিধার কথা বা আশঙ্কার কথাও জানাচ্ছেন অনেকে। যেমন ধরুনঃ
- হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল হলে সেই ঢাকাতেই আসতে হবে, কেননা সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বেঞ্চ ঢাকাতেই থাকবে।
- অনেক সময় আঞ্চলিক ক্ষমতাসীনের দাপটে আদালত প্রাঙ্গণের কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
- অনেকে মনে করেন, আপীল বিভাগ যেহেতু ঢাকায় থাকবে ফলে ভালো আইনজীবী বিভাগীয় শহরে না পাওয়া গেলে, তাদেরকে নিয়ে যেতে বিচারপ্রার্থীদের বেশি খরচ বাড়বে।
- যথাযথ কোর্ট বিল্ডিং, বার বিল্ডিং এবং বিচারপতিদের বাসস্থান ইত্যাদি বিষয়ে অবকাঠামোর নির্মাণ এবং সঠিক নিরাপত্তা প্রদান।
- মাঝে মধ্যে দেখা যায় জেলা পর্যায় কিছু আইনজীবী পছন্দমত আদেশ না পেলে – হৈচৈ, আদালত বর্জন, আদালতে অশোভন কার্যক্রম ইত্যাদিতে লিপ্ত হয়। এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রাখতে হবে।
- একই সাথে জেলা পর্যায়ের সেই সকল আইনজীবীদের জন্য বার কাউন্সিল এর উদ্যোগে গ্রুমিং করার উদ্দ্যেশে ট্রেইনিং আয়োজন করতে হবে।
- বিচারপতিদের বদলির ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতে রাখতে হবে।
Be the first to comment