বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের চারটি ধারা নিয়ে রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি

‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ–২০২৫’-এর ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা নিয়ে দায়ের করা রিট আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৮ এপ্রিল) এই আদেশ দেন।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

রিটের পটভূমি

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ–২০২৫’-এর ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। রিটটি ১৭ মার্চ হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে।

তবে সেদিন বেঞ্চের বিচারপতি বিব্রতবোধ প্রকাশ করে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি রিটটি বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

শুনানিতে অংশ নেন দেশের শীর্ষ আইনজীবীরা

রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এম বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রিট আবেদনকারী মো. আজমল হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।

শুনানি শেষে আদালত পর্যবেক্ষণসহ রিট নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন।

বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের ধারাসমূহ

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ–২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়।

  • ৩ ধারায় বিচারক নিয়োগ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা,

  • ৪ ধারায় কাউন্সিল সচিব নিয়োগ,

  • ৬ ধারায় কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি,

  • ৯ ধারায় আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত সুপারিশের বিধান রয়েছে।

আইনজীবী মো. আজমল হোসেন অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা সংবিধানবিরোধী দাবি করে সংশোধনের জন্য ২৩ জানুয়ারি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। সরকার কোনো জবাব না দেওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং কেন তা অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন করা হয়েছিল। রিটের মাধ্যমে অধ্যাদেশটির কার্যক্রম স্থগিত রাখারও আবেদন জানানো হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*